পোটকরা টু ম্যানহাটন (হার্ডকভার)

কুমিল্লা। আশির দশক। অনেক দিঘী, খেলার মাঠে সাজানাে নিরিবিলি শহর। দুরস্ত এক শিশু এই শহরে বেড়ে উঠছে। কিশাের বয়সে তার মধ্যে ক্রিকেটের প্রতি বিপুল আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। তখনাে সে মিঠু নামে পরিচিত। নিজ শহর ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় তখন দাপিয়ে ক্রিকেট খেলছে। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন মিঠু একজন ক্রিকেটার হবে। কিন্তু বিধাতা অন্য রকম ভেবে রেখেছিলেন। হয়তাে এজন্যই তাকে দামী একটা কণ্ঠ দিয়েছিলেন। আমার ব্যক্তিগত মত, শিল্পীরা সার্বজনীন। তাদের প্রত্যক্ষ রাজনীতি করতে নাই। দলমত নির্বিশেষে সকলেই শিল্পীদের ভালােবাসবে। শিল্পীর কাছে আসবে। শিল্পীর সম্মান এখানেই। এইদিক থেকে মিঠুর রাজনীতিতে যােগ দেয়া, একটা ঐতিহাসিক ভুল ছিলাে। এই ভুল কাটিয়ে গানে আবার নিজের আসন তৈরি করতে পারাও ছিল অন্য ধরণের বিজয়। তার কণ্ঠের মহিমায় বুঁদ হয়ে থাকা আমজনতা একদিন জানতে পারে, মিঠু লেখেও ভালাে। ততদিনে অবশ্য তার ভালাে নাম আসিফ আকবরের আড়ালে ডাক নাম মিঠু হারিয়ে গেছে। আসিফ আকবর ফেসবুকে তার ভাবনা চিন্তা নিয়মিত প্রকাশ করতে থাকে লেখাগুলাের গদ্যমান অনেকের পছন্দ হয়। লেখার বিষয়ব্তুও পাঠককে আকর্ষণ করে। পাঠক প্রিয় সেই লেখাগুলাে নিয়েই এই বই। জীবনের নতুন এই ইনিংসে আসিফ আকবর সফল হবেন, এই বিশ্বাস অনেকেই ধারণ করেন। এই বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। এই বছর আমাদের সবার আশা পূরণ হােক এই কামনা করি। এবং এই কামনা আসিফের বইয়ের জন্যও রইলাে।